• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

শেষ দিকে নীলফামারীতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

  • ''
  • প্রকাশিত ০২ এপ্রিল ২০২৪

নীলফামারী প্রতিনিধি:

ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে নীলফামারীর জেলা শহরের মাকের্টগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ততই বাড়ছে। শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতানের পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটা জমে উঠেছে।

সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শহরের দোকানপাট খোলা থাকছে। এদিকে, নিউ মার্কেট, পৌর সুপার মার্কেট, মকবুল হোসেন সুপার মার্কেট, মুরাদ আলী প্লাজা, সোলেমান প্লাজা, বড় বাজার, ন্সৃতি গার্মেন্টস, প্রিয়ম ক্লথ ষ্টোরসহ বিভিন্ন বিপণীবিতাণে প্রতিদিন ইফতারের পর ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।

বড় বাজারের মের্সাস প্রিয়ম ক্লথ ষ্টোর এন্ড গার্মেন্টেসের মালিক জাভেদ আকতার নান্নু জানান, এ বছর ঈদের বাজারে দেশিয় সুতি থ্রি-পিসের সঙ্গে ল্যাহেঙ্গা, বুটিকস্, চোয়া, আড়ং, জিপসি, ভারতীয় থ্রি-পিচ, নাইরাকাটা এবারের মুল আর্কশন। এছাড়াও ভারতীয় সারার, জারারা, ও থ্রি-পিচের পাশাপাশি দেশীয় পোশাক পছন্দের শীর্ষে। বাজারে চাহিদা রয়েছে, অরগেনজা, মেঘা, চান্দ্রিয়া, জয়পুরি ও পাকিস্তানি সারারা গারারা বেশি বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, কাতান, বাড়িস, কারচুপি, বালাহার, মটকা, কাশ্মিরী কাতানের প্রচুর চাহিদা।

জেলা শহরের বড় বাজারের স্মৃতি ক্লোথ এন্ড গার্মেন্টেসর মালিক মকবুল হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এবার কেনাকাটা কিছুটা বেড়েছে। দাম কিছুটা বেশি হলেও ক্রেতাদের সামর্থ্যের মধ্যেই বেচাকেনা চলছে। তবে সারারা গারারা, কাতান, ইন্ডিয়ান থ্রি-পিস সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। শাড়ির মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে ফোর প্লাই, মনিপুরি ও কাশ্মিরী কাতান শাড়ী উল্লেখ্য। এছাড়া লেহেঙ্গার চাহিদাও বেড়েছে বেশ।

জামিল গার্মেন্টেসের প্রোফাইটার আব্দুর রহিম জানান, ফোর প্লাই, মনিপুরি শাড়ি বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ল্যাহেঙ্গা পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা, সারারা-জারারা পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকা, সুতি থ্রি-পিচ এক হাজার ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা, ভারতীয় জিপসি সাত হাজার থেকে আট হাজার ৯০০ টাকা। অপরদিকে, পাঞ্জাবী, শার্ট, প্যান্ট, গেনঞ্জি ফতুয়া ও শিশুদের জামা কাপড়সহ দোকান ঘুরে কেউ, কেউ দেখছেন, আবার কেউ সাধ্যমত কিনছেন।

জেলা শহরের মকবুল হোসেন সুপার মার্কেটে কথা হয়, ‘সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পাড়া গ্রামের রিপন ইসলাম (২৫) বলেন, ‘ঈদ আসতে এখনো সাত আটদিন বাকী। পরিবারের সকলের কাপড় কেনা প্রায় শেষের দিকে। এখন আমার একটি পাঞ্জাবী কিনতে এসেছি। সাধ্যের মধ্যে পছন্দের কাপড় কিনতে পেরে বেশ ভালই লাগছে।’

ওই মার্কেটে নারী ক্রেতা সাহিদা সরকার (৫৫) বলেন, ‘এবার ঈদে প্রত্যেকটি দোকানে পছন্দের কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। স্বল্প আয়ের মধ্য থেকে সাধ্যমত কিনতে পেরে ভালই লাগছে। দামের ব্যাপারেও তেমন ঠেকছে না। ব্যবসায়ীরাও ভাল ব্যবহার করছে।’

নীলফামারী চেম্বার অব কমার্চ এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত বছরের ন্যায় তুলনামূলকভাবে এবারও ঈদ পোশাকসহ সকল পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু এরপরেও ঈদ পালন করতে কম, বেশি কিছু কিনতেই হবে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ক্রেতাদের কাজ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানান তিনি।’

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান, ‘জনগণের জানমাল রক্ষায় সব সময় সতর্ক আছি। ঈদকে সামনে রেখে শহরের বিভিন্ন বিপণিবিতান, দোকান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ টহল দিচ্ছে। এছাড়া যানজট নিরসনেও বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে ট্রাফিক বিভাগ।’

পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, ‘ঈদ উপলক্ষে জনগনের জানমাল রক্ষায় জেলা পুলিশ সর্তক রয়েছে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ইতোমধ্যে জেলার ছয় উপজেলায় সতর্কতার সাথে পুলিশ কাজ করছে। আশা করি, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে ঈদুল ফেতর পালিত হবে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads